হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী মাসে কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে জাতিসংঘ। ৬৪টি দেশ এখনও জাতিসংঘের চাঁদা দেয়নি বলে এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
ডয়চে ভেলে বাংলা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, সৌদি আরবসহ ৬৪টি দেশ জাতিসংঘকে চাঁদা দেয়নি বলে উঠে আসে মঙ্গলবার সংস্থাটির বাজেট কমিটির বৈঠকে।
বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘এ মাসে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থসংকটে পড়ব আমরা। নভেম্বরে বেতন দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ না পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।’
তবে সংকট কমাতে এর মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে আছে, শূন্য পদগুলো এখন পূরণ না করা, শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া এবং বিভিন্ন বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া কিংবা বাতিল করা।
জানা যায়, ২০১৯ সালে জাতিসংঘ পরিচালনার বাজেট প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর ২২ শতাংশ দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু এখনো সেটা পাওয়া যায়নি।
তবে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র মিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জাতিসংঘের পাওয়া টাকার একটি অংশ এই শরতে (অক্টোবর-নভেম্বর) দেওয়া হবে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনার জন্য আলাদা বাজেট রয়েছে। চলতি অর্থবছরে সেই বাজেটের পরিমাণ হচ্ছে ৬.৫১ বিলিয়ন ডলার। এই বাজেটের প্রায় ২৮ শতাংশ দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ২৫ শতাংশ অর্থ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে দেশটি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘জাতিসংঘ পরিচালনার অন্যায় ভার যুক্তরাষ্ট্র বহন করে চলেছে।’ সংস্থায় সংস্কার আনার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ছাড়াও চাঁদা না দেওয়া ৬৪টি দেশের মধ্যে আছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ইরান, ইসরায়েল, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ভেনেজুয়েলাও।